West Bengal State University
UG 5th Semester Political Science Notes
Paper: Major/DS 11 Indian Political Thought-1
ভক্তি আন্দোলনে কবীরের অবদান, নিরাকার ভক্তি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, জাতিভেদ বিরোধিতা ও মানবতাবাদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা বাংলায়। ভক্তি আন্দোলনে কবীরের অবদান, Kabir Bhakti Movement, Bhakti Movement in Bengal, Indian Religious Movement, Political Science Bengali Notes, কবীরের দর্শন, কবীর কে ছিলেন?, কবীর কোন ধরনের ভক্তির প্রচার করেন?, কবীর কেন বিখ্যাত?, কবীরের চিন্তার প্রভাব কাদের উপর পড়ে?
১০) ভক্তি আন্দোলনে
কবীরের অবদান মূল্যায়ন করো।
উত্তর;
ভূমিকা;
মধ্যযুগীয় ভারতের ধর্মীয় ও সামাজিক ইতিহাসে ভক্তি
আন্দোলন একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল ঈশ্বরভক্তিকে সহজ, আন্তরিক ও
সর্বসাধারণের জন্য গ্রহণযোগ্য করে তোলা। ভক্তি আন্দোলনের বহু সাধক ও চিন্তাবিদের
মধ্যে কবীর ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একাধারে
সাধক, কবি, সমাজসংস্কারক ও
মানবতাবাদী চিন্তাবিদ। তাঁর বাণী ও আদর্শ ভক্তি আন্দোলনকে শুধু ধর্মীয় ক্ষেত্রেই
নয়, সামাজিক
সংস্কারের দিক থেকেও নতুন গতি প্রদান করে।
ভক্তি আন্দোলনে কবীরের অবদান;
ভক্তি আন্দোলনের ইতিহাসে কবীর ছিলেন এক অনন্য ও
প্রভাবশালী সাধক। তিনি ধর্মকে আচার, জাতিভেদ ও
সাম্প্রদায়িকতার বন্ধন থেকে মুক্ত করে মানবিক ও সহজ রূপে উপস্থাপন করেন। কবীরের
চিন্তাধারা ভক্তি আন্দোলনকে কেবল ধর্মীয় নয়, বরং সামাজিক ও
নৈতিক সংস্কারের আন্দোলনে পরিণত করে। তাঁর বাণীতে মানবপ্রেম, যুক্তিবাদ ও আত্মশুদ্ধির আহ্বান স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। ভক্তি আন্দোলনে
কবীরের অবদান নীচে আলোচনা করা হল-
i) নিরাকার ভক্তির প্রচার :
কবীর ভক্তি
আন্দোলনে নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনার ধারণা সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ঈশ্বরকে রূপহীন, সর্বব্যাপী
ও নিরাকার হিসেবে কল্পনা করেন। তাঁর মতে ঈশ্বর মন্দির বা মসজিদে সীমাবদ্ধ নন,
বরং মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করেন। তাই বাহ্যিক পূজা-পার্বণ বা
মূর্তিপূজা নয়, বরং অন্তরের ভক্তিই প্রকৃত সাধনার পথ। এই
ধারণা সাধারণ মানুষের কাছে ধর্মকে সহজ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলে এবং ভক্তি আন্দোলনকে
গভীর দার্শনিক ভিত্তি প্রদান করে।
ii) হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের বার্তা :
কবীর হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের সংকীর্ণতা ও গোঁড়ামির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দেখান যে ঈশ্বর এক এবং তাঁর কাছে সকল মানুষ সমান। মন্দির ও মসজিদের ভেদাভেদ তিনি প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন—ঈশ্বর মানুষের অন্তরে বাস করেন। তাঁর এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাণী ভক্তি আন্দোলনকে ধর্মীয় বিভাজনের ঊর্ধ্বে তুলে ধরে। কবীরের মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি সমাজে সহনশীলতা ও ঐক্যের বোধ জাগ্রত করে।
মাত্র 199 টাকায় এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209 এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা ডিজিটাল নোটস দেওয়া হয় (pdf ফাইল)
একবার নোটস নিলে সেই পেপারের ওপর পরবর্তীতে আরো কোনো পেশ্নের উত্তর দরকার হলে সেটা দিয়ে দেওয়া হবে।
iii) জাতিভেদ ও সামাজিক বৈষম্যের বিরোধিতা :
কবীর
জাতিভেদ প্রথার ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি জন্মের ভিত্তিতে মানুষের উচ্চ-নিম্ন
বিভাজনকে অস্বীকার করেন এবং কর্ম ও চরিত্রকেই মানুষের আসল পরিচয় বলে মনে করতেন।
তাঁর মতে ব্রাহ্মণ বা শূদ্র—কেউই জন্মসূত্রে বড় বা ছোট নয়। এই চিন্তা সমাজের
নিপীড়িত শ্রেণিকে আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস প্রদান করে। ফলে ভক্তি আন্দোলন কেবল
ধর্মীয় নয়, সামাজিক সংস্কারের আন্দোলন হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করে।
iv) সহজ ভাষায় ধর্মীয় বাণী প্রচার :
কবীর সংস্কৃত বা
ফারসির পরিবর্তে সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষায় দোহা রচনা করেন। তাঁর ভাষা ছিল সহজ, সরল
ও হৃদয়স্পর্শী। ফলে অশিক্ষিত সাধারণ মানুষও তাঁর বাণী সহজে বুঝতে পারত। এর
মাধ্যমে ধর্মীয় চিন্তা অভিজাত শ্রেণির গণ্ডি ছেড়ে জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে
পড়ে। কবীরের এই অবদান ভক্তি আন্দোলনকে গণআন্দোলনের রূপ দেয় এবং ধর্মকে
সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়।
v) আচারবিরোধী ও যুক্তিবাদী চিন্তা :
কবীর ধর্মের
নামে প্রচলিত কুসংস্কার, ভণ্ডামি ও আচারসর্বস্বতার বিরোধিতা করেন।
তিনি উপবাস, তীর্থযাত্রা ও বাহ্যিক আচারের পরিবর্তে
আত্মশুদ্ধি ও মানবপ্রেমকে গুরুত্ব দেন। তাঁর মতে প্রকৃত ধর্ম মানে নৈতিক জীবনযাপন।
এই যুক্তিনির্ভর দৃষ্টিভঙ্গি ভক্তি আন্দোলনকে কুসংস্কারমুক্ত করে এবং ধর্মকে
বাস্তব ও মানবিক রূপ দেয়।
vi) ভক্তি আন্দোলনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব :
কবীরের
চিন্তাধারা পরবর্তী বহু ভক্ত ও সাধকের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। গুরু নানক, দাদু
দয়াল প্রমুখ তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তাঁর নামানুসারে ‘কবীরপন্থ’ সম্প্রদায়
গড়ে ওঠে। ভক্তি আন্দোলনের সর্বজনীনতা, মানবতাবাদ ও ধর্মীয়
সহনশীলতার ভিত্তি নির্মাণে কবীরের অবদান অপরিসীম। তাঁর আদর্শ আজও সামাজিক
সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রেরণা জোগায়।
উপসংহার;
পরিশেষে বলা যায়, ভক্তি আন্দোলনে কবীরের অবদান ছিল বহুমাত্রিক ও যুগান্তকারী। তিনি ধর্মকে আচারনির্ভরতা ও সাম্প্রদায়িকতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে মানবিক ও সার্বজনীন রূপ দেন। নিরাকার ভক্তি, সামাজিক সমতা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবপ্রেম—এই আদর্শগুলির মাধ্যমে তিনি ভক্তি আন্দোলনকে নতুন দিশা দেখান।
এই বিষয়ের ওপর অন্যান্য নোটস
(যে প্রশ্নের উত্তর দরকার তার ওপর ক্লিক করো)
Unit-1
২) প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক চিন্তার উৎস ও বৌদ্ধিক পরিবেশ (intellectual milieu) বিশ্লেষণ করো।
২) প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক চিন্তার উৎস ও বৌদ্ধিক পরিবেশ (intellectual milieu) বিশ্লেষণ করো।
(যে প্রশ্নের উত্তর দরকার তার ওপর ক্লিক করো)
৪) ভারতের রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তায় ব্রাহ্মণ্যবাদী ঐতিহ্যের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
৫) ভারতের রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তায় শ্রমণিক ঐতিহ্যের (Shramanic Tradition) ওপর একটি প্রবন্ধ রচনা করো।
৪) ভারতের রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তায় ব্রাহ্মণ্যবাদী ঐতিহ্যের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
৫) ভারতের রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তায় শ্রমণিক ঐতিহ্যের (Shramanic Tradition) ওপর একটি প্রবন্ধ রচনা করো।
মাত্র 199 টাকায় এই পেপারের ওপর সমস্ত নোটস
পেতে চাইলে
সরাসরি WhatsApp করো
8101736209 এই নম্বরে
বিশেষ দ্রষ্টব্য
টাইপ করা ডিজিটাল নোটস দেওয়া হয় (pdf ফাইল)
৬) শ্রমণিক চিন্তাধারার সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও অহিংস নীতির রাজনৈতিক তাৎপর্য আলোচনা করো।
৭) ব্রাহ্মণ্য ও শ্রমণিক রাজনৈতিক চিন্তার মধ্যে মূল পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।
৮) শান্তিপর্ব অবলম্বনে ব্যাসের রাজনৈতিক দর্শন আলোচনা করো।
৯) রাজধর্ম সম্পর্কে ব্যাসের ধারণা ব্যাখ্যা করো।
১০) শান্তিপর্ব অনুযায়ী একজন আদর্শ শাসকের কর্তব্য ও নৈতিক দায়িত্ব আলোচনা করো।
৬) শ্রমণিক চিন্তাধারার সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও অহিংস নীতির রাজনৈতিক তাৎপর্য আলোচনা করো।
৭) ব্রাহ্মণ্য ও শ্রমণিক রাজনৈতিক চিন্তার মধ্যে মূল পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।
৮) শান্তিপর্ব অবলম্বনে ব্যাসের রাজনৈতিক দর্শন আলোচনা করো।
৯) রাজধর্ম সম্পর্কে ব্যাসের ধারণা ব্যাখ্যা করো।
১০) শান্তিপর্ব অনুযায়ী একজন আদর্শ শাসকের কর্তব্য ও নৈতিক দায়িত্ব আলোচনা করো।
(যে প্রশ্নের উত্তর দরকার তার ওপর ক্লিক করো)
১১) মহাভারতের শান্তিপর্বে ন্যায়ভিত্তিক শাসনের ধারণা বিশ্লেষণ করো।
১২) মনুর সামাজিক আইনের ধারণার মূল্যায়ন করো।
১৩) মনুর রাষ্ট্রচিন্তায় আইন ও ন্যায়বিচারের ধারণা আলোচনা করো।
১৪) মনুর বর্ণভিত্তিক সমাজব্যবস্থার রাজনৈতিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
১১) মহাভারতের শান্তিপর্বে ন্যায়ভিত্তিক শাসনের ধারণা বিশ্লেষণ করো।
১২) মনুর সামাজিক আইনের ধারণার মূল্যায়ন করো।
১৩) মনুর রাষ্ট্রচিন্তায় আইন ও ন্যায়বিচারের ধারণা আলোচনা করো।
১৪) মনুর বর্ণভিত্তিক সমাজব্যবস্থার রাজনৈতিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
Unit-2
১) কৌটিল্যের দণ্ডনীতির ধারণাটি বিশ্লেষণ করো।
২) কৌটিল্যের সপ্তাঙ্গ তত্ত্বটি আলোচনা করো। তুমি কি মনে করো বর্তমান রাষ্ট্র পরিচালনায় এর প্রাসঙ্গিকতা আছে? যুক্তিসহ আলোচনা করো।
১) কৌটিল্যের দণ্ডনীতির ধারণাটি বিশ্লেষণ করো।
২) কৌটিল্যের সপ্তাঙ্গ তত্ত্বটি আলোচনা করো। তুমি কি মনে করো বর্তমান রাষ্ট্র পরিচালনায় এর প্রাসঙ্গিকতা আছে? যুক্তিসহ আলোচনা করো।
সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মাত্র 199 টাকায় পেতে চাইলে সরাসরি WhatsApp করো
8101736209
এই নম্বরে
৩) কৌটিল্যের কূটনীতি ও বৈদেশিক নীতির মূল নীতিসমূহ আলোচনা করো।
৪) দীঘা নিকায়াতে বর্ণিত রাজত্বের উৎপত্তি ও রাজশক্তির ধারণা ব্যাখ্যা করো।
৫) মধ্যযুগীয় ভারতের রাষ্ট্রচিন্তার সাধারণ বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
৩) কৌটিল্যের কূটনীতি ও বৈদেশিক নীতির মূল নীতিসমূহ আলোচনা করো।
৪) দীঘা নিকায়াতে বর্ণিত রাজত্বের উৎপত্তি ও রাজশক্তির ধারণা ব্যাখ্যা করো।
৫) মধ্যযুগীয় ভারতের রাষ্ট্রচিন্তার সাধারণ বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
(যে প্রশ্নের উত্তর দরকার তার ওপর ক্লিক করো)
৬) বরানীর আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণার বিশ্লেষণ করো।
৭) জিয়াউদ্দিন বরানীর আদর্শ শাসনব্যবস্থার ধারণাটি আলোচনা করো।
৮) জিয়াউদ্দিন বরানির রাষ্ট্রচিন্তা অনুসারে একজন মুসলিম শাসকের কর্তব্য ও দায়িত্ব আলোচনা করো।
৯) বরানীর রাজনৈতিক চিন্তায় ধর্ম ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করো।
১০) আবুল ফজলের রাজতন্ত্র সম্পর্কিত ধারণা বিশ্লেষণ করো।
১১) আবুল ফজলের রাষ্ট্রচিন্তায় সম্রাটের ভূমিকা ও সার্বভৌমত্বের ধারণা আলোচনা করো।
৬) বরানীর আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণার বিশ্লেষণ করো।
৭) জিয়াউদ্দিন বরানীর আদর্শ শাসনব্যবস্থার ধারণাটি আলোচনা করো।
৮) জিয়াউদ্দিন বরানির রাষ্ট্রচিন্তা অনুসারে একজন মুসলিম শাসকের কর্তব্য ও দায়িত্ব আলোচনা করো।
৯) বরানীর রাজনৈতিক চিন্তায় ধর্ম ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করো।
১০) আবুল ফজলের রাজতন্ত্র সম্পর্কিত ধারণা বিশ্লেষণ করো।
১১) আবুল ফজলের রাষ্ট্রচিন্তায় সম্রাটের ভূমিকা ও সার্বভৌমত্বের ধারণা আলোচনা করো।
(যে প্রশ্নের উত্তর দরকার তার ওপর ক্লিক করো)
১২) ভক্তি আন্দোলনে কবীরের অবদান মূল্যায়ন করো।
১৩) ভারতের সমন্বয়বাদী রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তায় কবীরের অবদান আলোচনা করো।
১৪) কবীরের চিন্তায় ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সামাজিক সমতার ধারণা ব্যাখ্যা করো।
১৫) ইসলামি রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
১২) ভক্তি আন্দোলনে কবীরের অবদান মূল্যায়ন করো।
১৩) ভারতের সমন্বয়বাদী রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তায় কবীরের অবদান আলোচনা করো।
১৪) কবীরের চিন্তায় ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সামাজিক সমতার ধারণা ব্যাখ্যা করো।
১৫) ইসলামি রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।


0 মন্তব্যসমূহ